সবুজ বাংলাদেশ এর মাদকবিরোধী আন্দোলন:
সবুজ বাংলাদেশ শুধু পরিবেশ, কৃষি ও যুব উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক অবক্ষয় রোধেও সক্রিয়ভাবে কাজ করে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র হলো মাদকবিরোধী আন্দোলন। মাদক একটি সমাজবিধ্বংসী ব্যাধি, যা তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দেয় এবং পরিবার, সমাজ ও দেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়। সবুজ বাংলাদেশ এই ভয়াবহ সমস্যার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক, সংগঠিত ও সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখা।
মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।
পরিবার ও সমাজকে মাদক প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করা।
পুনর্বাসন ও সহমর্মিতাভিত্তিক মনোভাব গড়ে তোলা।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কমিউনিটিতে মাদকবিরোধী সভা, সেমিনার ও র্যালি আয়োজন।
লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার ও ভিডিওর মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি।
জাতীয় মাদকবিরোধী দিবস (২৬ জুন) উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন।
“মাদকবিরোধী তরুণ স্বেচ্ছাসেবক দল” গঠন করা হয়, যারা এলাকায় সচেতনতা ছড়ায়।
তরুণদেরকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে যুক্ত করে বিকল্প পথ দেখানো।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে “মাদকবিরোধী সচেতনতা ক্লাব” গঠন করে নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো হয়।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নেতৃত্ব গড়ে তোলা হয় যাতে তারা নিজেরাই বন্ধুদের মাদকের কুফল সম্পর্কে অবহিত করতে পারে।
অভিভাবকদের নিয়ে ওয়ার্কশপ ও পরামর্শমূলক সভা আয়োজন।
মাদকাসক্তির লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
নাটক, গান, দেয়ালিকা, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে মাদকবিরোধী বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।
স্থানীয় প্রতিভাবান তরুণদের মাদকবিরোধী প্রচারণায় সম্পৃক্ত করা।
স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পুনর্বাসন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ে সহযোগিতা।
মাদকসেবীদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব রেখে তাদের সমাজে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা।
ফলাফল ও প্রভাব:
মাদক সেবন প্রতিরোধে সচেতনতার একটি শক্তিশালী সামাজিক জাল তৈরি হচ্ছে।
তরুণ সমাজ গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত থাকছে ও বিকল্প পথ খুঁজে পাচ্ছে।
সমাজের বিভিন্ন স্তরে মাদকবিরোধী বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে।
সবুজ বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, মাদক প্রতিরোধের জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি সচেতনতা, শিক্ষা ও সামাজিক সম্পৃক্ততা সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ আন্দোলন শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং এটি একটি সামাজিক দায়িত্ব ও নৈতিক আন্দোলন।